1 ধন্য তারা, যারা নিখুঁত জীবন কাটায়আর মাবুদের নির্দেশ অনুসারে চলে।
2 ধন্য তারা, যারা তাঁর কথা মেনে চলেআর সমস্ত দিল দিয়ে তাঁর ইচ্ছামত চলে।
3 তারা কোন অন্যায় করে না;তারা মাবুদের পথেই চলে।
4 তুমি নিয়ম-কানুন ঠিক করে দিয়েছযেন আমরা তা যত্নের সংগে পালন করি।
5 আহা! তোমার নিয়ম মত চলার জন্যযেন আমার মনের স্থিরতা থাকে।
6 তাহলে তোমার সব হুকুম পালন করবার দরুনআমি লজ্জিত হব না।
7 তোমার ন্যায়পূর্ণ শরীয়ত শিক্ষা করতে করতেআমি খাঁটি অন্তরে তোমাকে শুকরিয়া জানাব।
8 আমি তোমার নিয়ম মত চলব;আমাকে একেবারে ত্যাগ কোরো না।
9 যুবক কেমন করে তার জীবন খাঁটি রাখতে পারবে?তোমার কালাম পালন করেই সে তা পারবে।
10 আমার সারা অন্তর দিয়ে আমি তোমাকেজানতে আগ্রহী হয়েছি;তোমার হুকুম-পথের বাইরে আমাকে ঘুরে বেড়াতে দিয়ো না।
11 তোমার কালাম আমার অন্তরে আমি জমা করে রেখেছি,যাতে তোমার বিরুদ্ধে গুনাহ্ না করি।
12 হে মাবুদ, সমস্ত প্রশংসা তোমার।তোমার নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও।
13 তোমার মুখ থেকে যে সব শরীয়ত বের হয়েছেআমার মুখ তা প্রকাশ করবে।
14 মহাধন লাভ করলে মানুষ যেমন আনন্দ পায়,তোমার কথা মেনে চলে আমি তেমনই আনন্দ পাই।
15 আমি তোমার নিয়ম-কানুনের বিষয় ধ্যান করি,আর তোমার পথের দিকে মনোযোগ দিই।
16 তোমার নিয়মের মধ্যে আমি আনন্দ পাই;তোমার কালাম আমি ভুলে যাব না।
17 তোমার এই গোলামের উন্নতি কর যেন আমি বেঁচে থাকিআর তোমার কালাম পালন করতে পারি।
18 আমার চোখ খুলে দাও যাতে তোমার শিক্ষার মধ্যেআমি আশ্চর্য আশ্চর্য বিষয় দেখতে পাই।
19 আমি তো দুনিয়াতে বাসকারী একজন বিদেশী;তোমার হুকুম আমার কাছ থেকে লুকিয়ে রেখো না।
20 তোমার শরীয়ত জানার জন্য সব সময়আমার প্রাণের আকুলতা খুব বেশী।
21 তুমি অহংকারীদের ধমক দিয়ে থাক;তারা তো বদদোয়াপ্রাপ্ত,তারা তোমার হুকুমের পথ ছেড়ে ঘুরে বেড়ায়।
22 অপমান ও ঠাট্টা-বিদ্রূপ তুমি আমার কাছ থেকে দূর কর,কারণ আমি তোমার কথা মেনে চলি।
23 যদিও শাসনকর্তারা বসে আমার বিপক্ষে কথা বলেনতবুও তোমার এই গোলাম তোমার নিয়ম ধ্যান করে।
24 তোমার কথাই আমার আনন্দ;সেগুলো আমাকে পরামর্শ দেয়।
25 আমি ধুলায় লুটিয়ে পড়েছি;তোমার কালাম অনুসারে আমাকে নতুন শক্তি দান কর।
26 আমার জীবনের সব কথা আমি তোমাকে জানিয়েছি,আর তুমি আমাকে জবাব দিয়েছ;তোমার নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও;
27 তোমার নিয়ম-কানুনের নির্দেশ আমাকে বুঝবার শক্তি দাও;তাহলে আমি তোমার কুদরতি কাজের বিষয়ধ্যান করতে পারব।
28 দুঃখে আমার প্রাণ কাতর হয়ে পড়েছে;তোমার কালাম অনুসারে আমাকে শক্তি দান কর।
29 আমার মধ্য থেকে ছলনা দূর কর;তুমি রহমত করে তোমার শিক্ষা আমাকে দান কর।
30 আমি বিশ্বস্ততার পথ বেছে নিয়েছি;তোমার শরীয়ত আমার সামনে রেখেছি।
31 হে মাবুদ, আমি তোমার কথা আঁকড়ে ধরে রেখেছি;তুমি আমাকে লজ্জা পেতে দিয়ো না।
32 তোমার হুকুমের পথে আমি দৌড়ে যাব,কারণ তুমি আমার অন্তর খুলে দিয়েছ।
33 হে মাবুদ, তোমার নিয়ম সম্বন্ধে আমাকে শিক্ষা দাও;জীবনের শেষ পর্যন্ত আমি তা পালন করব।
34 আমাকে বুঝবার শক্তি দাও,যাতে আমি তোমার নির্দেশ অনুসারে চলতে পারিআর আমার সমস্ত দিল দিয়ে তা পালন করতে পারি।
35 তোমার হুকুমের পথে আমাকে চালাও,কারণ তাতেই আমি আনন্দ পাই।
36 অন্যায় লাভের দিকে আমার অন্তর যেন না ফেরে,বরং তোমার কথার দিকে তুমি আমার অন্তর ফিরাও।
37 অসার জিনিসের দিক থেকে তুমি আমার চোখ ফিরাও;তোমার পথে চলতে আমাকে নতুন শক্তি দাও।
38 তোমার এই গোলামের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছতা তুমি পূর্ণ কর,যাতে আমি তোমাকে ভয় করতে পারি।
39 আমার অপমান তুমি দূর কর যার বিষয়ে আমি ভয় পাই;সত্যিই তোমার শরীয়ত ভাল বয়ে আনে।
40 তোমার নিয়ম-কানুনের প্রতি আমার আগ্রহ রয়েছে;তুমি ন্যায়বান বলে আমাকে নতুন শক্তি দাও।
41 হে মাবুদ, তোমার অটল মহব্বত আমাকে দেখাও;তোমার ওয়াদা অনুসারে তুমি আমাকে উদ্ধার কর।
42 তাহলে যারা আমাকে ঠাট্টা করে তাদের আমি জবাব দিতে পারব,কারণ আমি তোমার কালামের উপর ভরসা করি।
43 তোমার সত্যের কালাম তুমি আমার মুখ থেকেএকেবারে কেড়ে নিয়ো না,কারণ তোমার শরীয়তের উপরেইআমি আশা করে রয়েছি।
44 আমি সব সময় তোমার নির্দেশ পালন করব,চিরকাল তা করব।
45 আমি বিনা বাধায় জীবন কাটাব,কারণ তোমার নিয়ম-কানুনের দিকে আমি মনোযোগ দিয়েছি।
46 তুমি যে সব কথা বলেছ তা আমি বাদশাহ্দের সামনে বলব;আমি লজ্জিত হব না।
47 তোমার সব হুকুম পালন করার মধ্যে আমি আনন্দ পাই,কারণ আমি সেগুলো ভালবাসি।
48 তোমার সব হুকুমের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ আছে,কারণ আমি সেগুলো ভালবাসি;তোমার নিয়ম আমি ধ্যান করি।
49 তোমার এই গোলামের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছতা মনে করে দেখ;তার দ্বারাই তো তুমি আমাকে আশা দিয়েছিলে।
50 তোমার কালাম যে আমাকে নতুন শক্তি দেয়,কষ্টভোগের সময় এটাই আমার সান্ত্বনা।
51 অহংকারীরা আমাকে খুব ঠাট্টা-বিদ্রূপ করে,কিন্তু আমি তোমার নির্দেশ থেকে একটুও সরে যাই নি।
52 হে মাবুদ, অনেক কাল আগে দেওয়াতোমার শরীয়তের কথা আমি মনে করিআর নিজেকে সান্ত্বনা দিই।
53 দুষ্ট লোকদের দুষ্টতা দেখে ভীষণ রাগ আমাকে পেয়ে বসেছে;তারা তো তোমার নির্দেশ ত্যাগ করেছে।
54 আমি যতদিন এই দুনিয়ার বাসিন্দা হয়ে আছিততদিন তোমার নিয়মগুলোই হবে আমার কাওয়ালীর বিষয়।
55 হে মাবুদ, আমি তোমার নির্দেশ মেনে চলি,আর রাতে তোমার কথা মনে করি।এটাই আমার অভ্যাস যে,
56 আমি তোমার নিয়ম-কানুন মেনে চলি।
57 হে মাবুদ, তুমি আমার সম্পত্তি;আমি তোমার কথা মেনে চলার জন্য ওয়াদা করেছি।
58 আমি মনেপ্রাণে তোমার রহমত চেয়েছি;তোমার কালাম অনুসারে তুমি আমার প্রতি রহমত কর।
59 আমার চলাফেরার বিষয় আমি চিন্তা করে দেখেছি,সেজন্য তোমার কালামের দিকে আমার পা ফিরিয়েছি।
60 তুমি যে সব হুকুম দিয়েছ তা আমি তাড়াতাড়ি পালন করেছি,দেরি করি নি।
61 দুষ্ট লোকদের দড়িতে আমি বাঁধা পড়েছি,কিন্তু আমি তোমার নির্দেশ ভুলে যাই নি।
62 তোমার ন্যায়পূর্ণ শরীয়তের জন্য শুকরিয়া জানাতেআমি দুপুর রাতে উঠি।
63 যারা তোমাকে ভয় করে ও তোমার নিয়ম-কানুন পালন করেআমি তাদের সকলের সংগী।
64 হে মাবুদ, দুনিয়া তোমার অটল মহব্বতে পূর্ণ;তোমার নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও।
65 হে মাবুদ, তোমার কালাম অনুসারেতোমার এই গোলামের তুমি মেহেরবানী করেছ।
66 আমার যাতে ভাল বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান হয়সেজন্য তুমি আমাকে শিক্ষা দাও;তোমার সব হুকুমের উপর আমি ভরসা করি।
67 কষ্ট পাবার আগে আমি বিপথে ছিলাম,কিন্তু এখন আমি তোমার কালামের বাধ্য হয়েছি।
68 তুমি মেহেরবান আর মেহেরবানীই করে থাক;তোমার নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও।
69 অহংকারীরা মিথ্যা দিয়ে আমাকে ঢেকে দিয়েছেকিন্তু আমি মনপ্রাণ দিয়ে তোমার নিয়ম-কানুন পালন করি।
70 তাদের অন্তর চর্বির মত অসাড়,কিন্তু আমি তোমার সমস্ত নির্দেশে আনন্দ পাই।
71 আমি যে কষ্ট পেয়েছি তা আমার পক্ষে ভালই হয়েছে;তাতে আমি তোমার নিয়ম শিখতে পারছি।
72 তোমার মুখের নির্দেশ আমার কাছেহাজার হাজার সোনা-রূপার টুকরার চেয়েও দামী।
73 তোমার হাতই আমাকে তৈরী করেছে, আমাকে গড়েছে;আমাকে বুঝবার শক্তি দাও যাতে তোমার সব হুকুমআমি জানতে পারি।
74 যারা তোমাকে ভয় করেতারা আমাকে দেখে আনন্দ পাবে,কারণ আমি তোমার ওয়াদার উপর ভরসা করে আছি।
75 হে মাবুদ, আমি জানি তোমার শরীয়ত ন্যায়ে পূর্ণ;তুমি বিশ্বস্ত বলে আমাকে কষ্ট দিয়েছ।
76 তোমার এই গোলামের কাছে তুমি যে ওয়াদা করেছসেই অনুসারে তোমার অটল মহব্বতই হোক আমার সান্ত্বনা।
77 আমার প্রতি তোমার মমতা নেমে আসুক যেন আমি বেঁচে থাকি,কারণ তোমার নির্দেশ আমাকে আনন্দ দেয়।
78 মিথ্যা কথা বলে আমার সর্বনাশ করার জন্যঅহংকারীরা লজ্জিত হোক;কিন্তু আমি তোমার নিয়ম-কানুনের বিষয় ধ্যান করব।
79 যারা তোমাকে ভয় করে ও তোমার কালাম বুঝতে পারেতারা আমার কাছে ফিরে আসুক।
80 তোমার নিয়ম পালন করার সময় আমার অন্তরযেন নিখুঁত থাকে,যাতে আমি লজ্জায় না পড়ি।
81 তুমি আমাকে রক্ষা করবে সেই অপেক্ষায় থাকতে থাকতেআমার শক্তি কমে যাচ্ছে;আমি তোমার কালামে আশা রেখেছি।
82 তোমার ওয়াদা পূর্ণ হবার অপেক্ষায় আমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়েছে;আমি বলি, “কখন তুমি আমাকে সান্ত্বনা দেবে?”
83 আংগুর-রস রাখা চামড়ার থলি ধোঁয়ায় যেমন নষ্ট হয়ে যায়আমি তেমনই হয়েছি;তবুও তোমার নিয়ম আমি ভুলে যাই না।
84 তোমার এই গোলামের আয়ু আর কতকাল?আমাকে যারা জুলুম করে কবে তুমি তাদের বিচার করবে?
85 অহংকারীরা আমার জন্য গর্ত খুঁড়েছে;তারা তোমার নির্দেশ মানে না।
86 তোমার সমস্ত হুকুমই বিশ্বাসযোগ্য।লোকে মিথ্যা কথা বলে আমাকে জুলুম করে;তুমি আমাকে সাহায্য কর।
87 দুনিয়া থেকে তারা আমাকে প্রায় মুছে ফেলেছিল,কিন্তু তোমার নিয়ম-কানুন আমি ত্যাগ করি নি।
88 তোমার অটল মহব্বতে তুমি আমাকে নতুন শক্তি দাও,যাতে তোমার মুখের কালাম আমি পালন করতে পারি।
89 হে মাবুদ, তোমার কালাম বেহেশতে চিরকাল স্থির আছে।
90 বংশের পর বংশ ধরে তোমার বিশ্বস্ততা বয়ে চলেছে;তুমি দুনিয়া স্থাপন করেছ, আর তা স্থির রয়েছে।
91 তোমার শরীয়ত অনুসারে আজও সব কিছু স্থির আছে,কারণ সেগুলো তোমার অধীনে রয়েছে।
92 তোমার সব নির্দেশে যদি আমি আনন্দ না পেতাম,তবে আমার কষ্টে আমি ধ্বংস হয়ে যেতাম।
93 তোমার নিয়ম-কানুন আমি কখনও ভুলে যাব না,কারণ তার দ্বারাই তো তুমি আমাকে নতুন শক্তি দান করেছ।
94 আমাকে রক্ষা কর, কারণ আমি তোমারই;তোমার নিয়ম-কানুনের দিকে আমি মনোযোগ দিয়েছি।
95 দুষ্টেরা আমাকে ধ্বংস করার জন্য অপেক্ষা করছে,কিন্তু তোমার কালাম নিয়ে আমি গভীরভাবে চিন্তা করব।
96 আমি দেখেছি কোন কিছুরই পরিপূর্ণতা নেই,কিন্তু তোমার হুকুমগুলো সব দিক থেকেই পরিপূর্ণ।
97 আমি তোমার নির্দেশ কত ভালবাসি!সারা দিন আমি তা ধ্যান করি।
98 তোমার সব হুকুম আমার শত্রুদের চেয়েআমাকে বুদ্ধিমান করে তোলে,কারণ সেগুলো সব সময়েই আমার সংগে সংগে থাকে।
99 আমার সব শিক্ষকদের চেয়ে আমি জ্ঞানবান,কারণ তোমার সমস্ত কথা আমি ধ্যান করি।
100 বৃদ্ধ লোকদের চেয়েও আমি বেশী বুঝি,কারণ আমি তোমার নিয়ম-কানুন পালন করি।
101 সমস্ত কুপথ থেকে আমার পা আমি সরিয়ে রেখেছি,যাতে আমি তোমার কালাম পালন করতে পারি।
102 তোমার শরীয়তের পথ থেকে আমি সরে যাই নি,কারণ তুমি নিজেই আমাকে শিক্ষা দিয়েছ।
103 তোমার সব ওয়াদা আমার জিভে কেমন মিষ্টি লাগে!তা আমার মুখে মধুর চেয়েও মিষ্টি মনে হয়।
104 তোমার নিয়ম-কানুন থেকে আমি বিচারবুদ্ধি লাভ করি,তাই আমি সমস্ত মিথ্যা পথ ঘৃণা করি।
105 তোমার কালাম আমার পথ দেখাবার বাতি,আমার চলার পথের আলো।
106 আমি তোমার ন্যায়পূর্ণ শরীয়ত মেনে চলার কসম খেয়েছি,আর সেই কসম পাকাপোক্ত করেছি।
107 আমি অনেক কষ্ট সহ্য করছি;হে মাবুদ, তোমার কালাম অনুসারে আমাকে নতুন শক্তি দাও।
108 হে মাবুদ, আমি নিজের ইচ্ছায় যে প্রশংসা কোরবানী করিতা তুমি কবুল কর,আর তোমার শরীয়ত আমাকে শিক্ষা দাও।
109 যদিও সব সময় আমি জীবনটাকে হাতের মুঠোয় নিয়ে চলি,তবুও তোমার নির্দেশ আমি ভুলে যাই না।
110 দুষ্টেরা আমার জন্য ফাঁদ পেতেছে,কিন্তু আমি তোমার নিয়ম-কানুন থেকে সরে যাই নি।
111 তোমার কালাম আমার চিরকালের সম্পত্তি;তা আমার অন্তরের আনন্দ।
112 সব সময়, এমন কি, শেষ পর্যন্ততোমার নিয়ম পালন করার জন্যআমার অন্তরকে আমি স্থির করেছি।
113 দু’মনা লোকদের আমি পছন্দ করি না,কিন্তু তোমার নির্দেশ আমি ভালবাসি।
114 তুমিই আমার আশ্রয় ও আমার ঢাল;তোমার কালামের উপরেই আমি আশা রেখেছি।
115 তোমরা যারা খারাপ কাজ কর,তোমরা আমার কাছ থেকে দূর হও,যাতে আমার আল্লাহ্র হুকুম আমি পালন করতে পারি।
116 তোমার ওয়াদা অনুসারে তুমি আমাকে ধরে রাখ,তাতে আমি বেঁচে থাকব;তোমার উপর আমার যে আশা আছেসেই বিষয়ে তুমি আমাকে লজ্জিত হতে দিয়ো না।
117 আমাকে ধর, তাহলে আমি রক্ষা পাব,আর তোমার নিয়ম আমি সব সময় মেনে চলব।
118 তোমার নিয়ম থেকে যারা দূরে চলে যায়তাদের তুমি অগ্রাহ্য করেছ,কারণ তাদের ভান করা নিষ্ফল।
119 দুনিয়ার সব দুষ্টদের তুমি ময়লার মত দূর করে দিয়ে থাক,সেইজন্যই তো তোমার সব কথা আমি ভালবাসি।
120 তোমার ভয়ে আমার গায়ে কাঁটা দেয়;তোমার শরীয়তের দরুন আমি ভয়ে পূর্ণ হই।
121 আমি ন্যায়বিচার ও ন্যায় কাজ করেছি;যারা আমাকে জুলুম করে তাদের হাতেতুমি আমাকে ছেড়ে দিয়ো না।
122 তোমার এই গোলামের উপকারের ভার তুমি নাও;অহংকারীদের আমাকে জুলুম করতে দিয়ো না।
123 তোমার সততা অনুসারে তুমি যে ওয়াদা করেছ তা পূর্ণ হবারএবং তোমার দেওয়া উদ্ধার পাবার অপেক্ষায় থেকেআমার চোখ দুর্বল হয়ে পড়েছে।
124 তোমার এই গোলামের সংগে তোমার অটল মহব্বত অনুসারেব্যবহার কর,আর তোমার নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও।
125 আমি তোমার গোলাম;আমাকে বুঝবার শক্তি দাওযাতে আমি তোমার কথা বুঝতে পারি।
126 হে মাবুদ, এখন তোমার কাজে নামার সময় হয়েছে;লোকে তো তোমার নির্দেশ অমান্য করেছে।
127 সেইজন্য আমি তোমার সমস্ত হুকুমসোনার চেয়ে, খাঁটি সোনার চেয়েও ভালবাসি।
128 তোমার সমস্ত নিয়ম-কানুন আমি ঠিক বলে মনে করি,আর সমস্ত মিথ্যা পথ ঘৃণা করি।
129 তোমার সমস্ত কথা চমৎকার,সেইজন্যই আমি তা পালন করে থাকি।
130 তোমার কালাম প্রকাশিত হলে তা আলো দান করে;তা সরলমনা লোকদের বুঝবার শক্তি দেয়।
131 তোমার হুকুম পাবার জন্য আমি আকুল হয়ে ছিলাম,যেন আমি মুখ খুলে হাঁপাচ্ছিলাম।
132 যারা তোমাকে মহব্বত করে তাদের প্রতি তুমি যেমন করে থাক,তেমনি করে তুমি আমার দিকে ফেরো ও আমার প্রতি রহমত কর।
133 তোমার কালাম অনুসারে ঠিক পথে চলবার জন্যতুমি আমার পা স্থির কর;কোন অন্যায় যেন আমার উপরে কর্তৃত্ব না করে।
134 লোকদের জুলুমের হাত থেকে তুমি আমাকে মুক্ত করযেন আমি তোমার নিয়ম-কানুন পালন করতে পারি।
135 তোমার রহমত আলোর মত করেতোমার এই গোলামের উপর পড়ুক;তোমার সব নিয়ম আমাকে শিক্ষা দাও।
136 আমার চোখের পানি স্রোতের মত বইছে,কারণ লোকে তোমার নির্দেশ মানে না।
137 হে মাবুদ, তুমি ন্যায়বান;তোমার বিচার ন্যায্য।
138 তোমার ন্যায্যতায় ও মহা বিশ্বস্ততায়তুমি তোমার শরীয়ত দিয়েছ।
139 আমার শত্রুরা তোমার কালাম ভুলে গেছে বলেতোমার সম্মান রক্ষার জন্য গভীর আগ্রহআমাকে পেয়ে বসেছে।
140 তোমার কালাম একেবারে খাঁটি বলে প্রমাণিত হয়েছে,তাই তোমার এই গোলাম তা ভালবাসে।
141 যদিও আমি সামান্য ও তুচ্ছ,তবুও আমি তোমার নিয়ম-কানুন ভুলে যাই না।
142 তোমার ন্যায্যতা চিরকাল স্থায়ী,আর তোমার সমস্ত নির্দেশ সত্য।
143 কষ্ট ও যন্ত্রণা আমার উপর এসে পড়েছে,কিন্তু তোমার সব হুকুমেই আমি আনন্দ পাই।
144 তোমার সব কথা চিরকাল ন্যায়ে পূর্ণ;আমাকে তা বুঝবার শক্তি দাও যেন আমি বেঁচে থাকতে পারি।
145 আমার সমস্ত দিল দিয়ে আমি তোমাকে ডাকছি;হে মাবুদ, আমাকে জবাব দাও।আমি তোমার সব নিয়ম পালন করব।
146 আমি তোমাকেই ডাকছি, আমাকে উদ্ধার কর;আমি তোমার সব কথা পালন করব।
147 ভোর হওয়ার আগেই আমি উঠে সাহায্যের জন্য কাঁদি;তোমার ওয়াদার উপর আমি ভরসা করে আছি।
148 রাত শেষ হবার আগেই আমার চোখ খুলে যায়,যেন তোমার সব ওয়াদা নিয়ে আমি ধ্যান করতে পারি।
149 তোমার অটল মহব্বত অনুসারে তুমি আমার কথা শোন;হে মাবুদ, তোমার শরীয়ত অনুসারেতুমি আমাকে নতুন শক্তি দাও।
150 যারা খারাপ কাজ করে তারা কাছে এসে পড়েছে;তারা তোমার নির্দেশ থেকে অনেক দূরে থাকে।
151 কিন্তু হে মাবুদ, তুমি তো কাছেই আছ,আর তোমার সমস্ত হুকুম সত্য।
152 তোমার কালাম থেকে অনেক আগেই আমি জেনেছি যে,তুমি চিরকালের জন্য তা স্থির করেছ।
153 আমার দুর্দশার দিকে তাকাও, আমাকে রক্ষা কর,কারণ আমি তোমার নির্দেশ ভুলে যাই নি।
154 আমার পক্ষ হয়ে কথা বল,আর আমি যে নির্দোষ তা প্রমাণ কর;তোমার ওয়াদা অনুসারে আমাকে নতুন শক্তি দাও।
155 দুষ্ট লোকদের কাছ থেকে উদ্ধার অনেক দূরে রয়েছে,কারণ তারা তোমার নিয়মের দিকে মনোযোগ দেয় না।
156 হে মাবুদ, তোমার মমতা অনেক বেশী;তোমার শরীয়ত অনুসারে আমাকে নতুন শক্তি দাও।
157 আমার শত্রুরা ও জুলুমবাজ লোকেরা সংখ্যায় অনেক,কিন্তু আমি তোমার কালাম থেকে সরে যাই নি।
158 বেঈমানদের দেখে আমার ঘৃণা লাগে,কারণ তারা তোমার কালাম অনুসারে চলে না।
159 দেখ, আমি তোমার নিয়ম-কানুন কেমন ভালবাসি!হে মাবুদ, তোমার অটল মহব্বত অনুসারেআমাকে নতুন শক্তি দাও।
160 তোমার সমস্ত কালাম সত্য;তোমার প্রত্যেকটি ন্যায়পূর্ণ আইন চিরকাল স্থায়ী।
161 শাসনকর্তারা বিনা কারণেই আমার উপর জুলুম করেন,কিন্তু আমার অন্তরে তোমার কালামের প্রতিভয় রয়েছে।
162 যুদ্ধে পাওয়া জিনিসপত্র নিয়ে লোকে যেমন আনন্দ পায়,ঠিক তেমনি তোমার ওয়াদার জন্য আমি আনন্দ পাই।
163 মিথ্যাকে আমি ঘৃণা করি, জঘন্য মনে করি,কিন্তু তোমার নির্দেশ আমি ভালবাসি।
164 তোমার ন্যায়পূর্ণ শরীয়তের জন্যদিনে সাত বার আমি তোমার প্রশংসা করি।
165 যারা তোমার নির্দেশ ভালবাসে তারা খুব শান্তি পায়;কোন কিছুতেই তারা উচোট খায় না।
166 হে মাবুদ, তুমি আমাকে উদ্ধার করবেআমি সেই আশায় আছি,আর তোমার হুকুম পালন করছি।
167 আমি তোমার সব কথা মেনে চলি আর তা খুব ভালবাসি।
168 আমি তোমার নিয়ম-কানুন ও সব কথা মেনে চলি,কারণ আমার জীবনের আগাগোড়াই তোমার জানা আছে।
169 হে মাবুদ, আমার ফরিয়াদ তোমার সামনে উপস্থিত হোক;তোমার কালাম অনুসারে আমাকে বুঝবার শক্তি দাও।
170 আমার মিনতি তোমার সামনে উপস্থিত হোক;তোমার ওয়াদা অনুসারে তুমি আমাকে উদ্ধার কর।
171 আমার ঠোঁট থেকে তোমার প্রশংসা উপ্চে পড়ুক,কারণ তুমিই আমাকে তোমার নিয়ম শিক্ষা দিচ্ছ।
172 আমার জিভ্ তোমার কালাম নিয়ে কাওয়ালী করুক,কারণ তোমার সমস্ত হুকুম ন্যায়পূর্ণ।
173 তোমার হাত আমাকে সাহায্য করতে প্রস্তুত থাকুক,কারণ তোমার নিয়ম-কানুন আমি পালন করব বলে ঠিক করেছি।
174 হে মাবুদ, তুমি আমাকে উদ্ধার করবেসেজন্য আমি আগ্রহের সংগে অপেক্ষা করে আছি;তোমার সব নির্দেশই আমার আনন্দের বিষয়।
175 আমাকে বাঁচতে দাও যেন আমি তোমার প্রশংসা করতে পারি;তোমার শরীয়ত আমাকে সাহায্য করুক।
176 হারানো ভেড়ার মত আমি বিপথে গিয়েছি;তোমার গোলামকে তুমি খুঁজে নাও,কারণ তোমার হুকুম আমি ভুলে যাই নি।