1 শক্তিশালী মাবুদ, আল্লাহ্ মাবুদ, কথা বলেছেন;পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্তদুনিয়ার সবাইকে তিনি ডাক দিয়েছেন।
2 সিয়োন থেকে, পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের জায়গা থেকে,আল্লাহ্র নূর ছড়িয়ে পড়েছে।
3 আমাদের আল্লাহ্ আসছেন, তিনি মুখ খুলবেন;আগুন তাঁর আগে আগেসব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে চলবে;আর তাঁর চারপাশে ভীষণ ঝড় বইবে।
4 তাঁর নিজের বান্দাদের বিচারে অংশ নেবার জন্যউপরের আসমানকে তিনি ডাক দিচ্ছেন,আর ডাক দিচ্ছেন দুনিয়াকে;
5 তিনি বলছেন, “আমার সেই ভক্তদের আমার কাছে জমায়েত কর,যারা পশু-কোরবানীর মধ্য দিয়েআমার স্থাপন করা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”
6 আসমান তাঁর ন্যায়বিচারের কথা ঘোষণা করছে,কারণ আল্লাহ্ নিজেই বিচারক।
7 “হে আমার বান্দারা, শোন, আমি কথা বলছি;হে ইসরাইল, আমি তোমার বিপক্ষে সাক্ষ্য দিচ্ছি;আমি আল্লাহ্, তোমারই আল্লাহ্।
8 তোমার পশু-কোরবানী নিয়ে আমি তোমাকে দোষী করছি না;তোমার পোড়ানো-কোরবানী সব সময়ই তো আমার সামনে রয়েছে।
9 তোমার গোয়ালের কোন ষাঁড়ের আমার দরকার নেই,তোমার খোঁয়াড়ের ছাগলও নয়;
10 কারণ বনের সব প্রাণীই আমার,অসংখ্য পাহাড়ের উপরে ঘুরে বেড়ানো পশুও আমার।
11 এমন কি, পাহাড়ের সব পাখীও আমার জানা আছে,মাঠের সব প্রাণীও আমার।
12 আমার খিদে পেলেও আমি তোমাকে বলতাম না,কারণ দুনিয়া আমারআর তার মধ্যে যা কিছু আছে সবই আমার।
13 তুমি কি মনে কর ষাঁড়ের গোশ্ত আমার খাবার?ছাগলের রক্ত কি আমি খাই?
14 আল্লাহ্র কাছে তোমার শুকরিয়াই তোমার কোরবানী হোক;সেই মহানের কাছেই তোমার সব মানত পূরণ করতে থাক।
15 তোমার বিপদের দিনে তুমি আমাকে ডেকো;আমি তোমাকে উদ্ধার করবআর তুমি আমাকে সম্মান করবে।”
16 কিন্তু আল্লাহ্ দুষ্ট লোকদের এই কথা বলেন,“আমার শরীয়তের কথা বলারকিংবা আমার ব্যবস্থার কথা মুখে আনারতোমার কি অধিকার আছে?
17 তুমি তো আমার শাসন ঘৃণা করআর আমার কথার ধার ধারো না।
18 চোরকে দেখলে তুমি তাকে সায় দাও,জেনাকারীদের সংগে মেলামেশা কর।
19 খারাপ কথায় তোমার মুখ খোলা,তোমার জিভ্ ছলনার বশে থেকে কথা বলে।
20 তুমি বসে বসে তোমার নিজের ভাইয়ের বিরুদ্ধেকথা বলে থাক আর তার নিন্দা কর।
21 এ সবই তুমি করেছ, কিন্তু আমি মুখ খুলি নি;তুমি ভেবেছ আমি তোমারই মত একজন,কিন্তু আমি তোমার দোষ দেখিয়ে দেবআর তোমার সব কিছু তোমার চোখের সামনে পর পর তুলে ধরব।
22 “তোমরা যারা আল্লাহ্কে ভুলে গেছ কথাটা একবার ভেবে দেখো;তা না হলে আমি তোমাদের ছিঁড়ে টুকরা টুকরা করে ফেলব,তোমাদের বাঁচাবার কেউ থাকবে না।